৪ঠা, চল্লিশা, বার্ষিকী ইত্যাদি প্রথা পালন করা

প্রশ্ন

খানা করার বিধান কী ?

প্রশ্নকারীর নাম: মোঃ মিজানুর মন্ডল

প্রশ্নকারীর ঠিকানা: হিলি দক্ষিণ দিনাজপুর

প্রকাশিত: 31-05-2023

উত্তর

 ফতওয়া নং ১৭১

 

       মৃতের নামে চল্লিশা,বার্ষিকী ইত্যাদি করার শরয়ী কোন ভিত্তি নেই। এসবই হিন্দুদের সংস্কৃতি। তাদের ধর্মে এই দিবসগুলো খুবই গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়। তাদের সহাবস্থানের কারণে এগুলো আমাদের মুসলিমদের মাঝেও ঢুকে পড়েছে। এগুলোকে ইসলামের অংশ মনে করে করা বা গুরুত্ব দেওয়া বিদআত। 
    ঈছালে ছওয়াবের জন্য কোন দিন তারিখ (যেমন- ৪ঠা, চল্লিশা, বার্ষিকী ইত্যাদি) নির্ধারণ করাও বিদআত। অতএব তা পরিত্যাজ্য। 
    টাকা-পয়সা বা পার্থিব কোন  বস্তু  বিনিময় পাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরআন খানী বা  কলেমা খানী করালে তার কোন ছওয়াব পাওয়া যাবে না। অতএব সেরূপ কুরআন খানী ও খতমের দ্বারা ঈছালে ছওয়াবও হবে না বরং এরূপ বিনিময় গ্রহণ পূর্বক খতম ও কুরআন খানী করা এবং করানো উভয়টা হারাম।
তবে, এভাবে, তিনদিন, চল্লিশ দিন, এগার দিন ইত্যাদি দিন ধার্য না করে ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে গরীবকে খানা খাওয়ানো, বা টাকা-পয়সা, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি কোন বিনিময় ছাড়া তিলাওয়াতে কুরআন, কলেমা পাঠ ইত্যাদি জায়েজ;বরং উত্তম কাজ। সেই হিসেবে মাইয়েতের আপনজন, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন সকলেই স্বতন্ত্রভাবে নিজ নিজ স্থানে থেকে তিলাওয়াত ও যিকির-আযকার পূর্বক কিংবা দুআর মাধ্যমে ঈছালে ছওয়াব করতে পারে। এর জন্য সকলে একত্রিত হয়ে সম্মিলিত ভাবে খতম পড়ার অবশ্যকতা নেই। তদুপরি আজকাল সম্মিলিতভাবে খতম পড়াটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। তাই এই রেওয়াজ পরিত্যাগ করা উচিত।(শামী২/২৪০)

 

                  স্বাক্ষরঃ

মুফতী সাইফুল ইসলাম কাসিমী
ফতওয়া বিভাগ,জামিয়া নু'মানিয়া।
২৭ রবিউল আউয়াল ,১৪৪৫হিজরী(13/10/2023)


উত্তর দেখা হয়েছে : 304