প্রশ্ন
সংক্ষেপে উমরাহ করার পদ্ধতিটি জানালে উপকৃত হবো জাযাকাল্লাহ।
প্রশ্নকারীর নাম: হাসান
প্রশ্নকারীর ঠিকানা: হুগলি
প্রকাশিত: 30-09-2023
উত্তর
ফতওয়া নং ২০১
উমরার কাজ গুলি হল (১) মীকাতে প্রবেশের আগে ইহরাম বাঁধা (শর্ত)।(২) মক্কায় পৌঁছে প্রথমেই উমরার তওয়াফ করা (রুকন) । (৩) অতঃপর সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করা (ওয়াজিব) ।(৪) এরপর মাথা মুন্ডণ করা বা এক গিরা পরিমাণ চুল ছেঁটে ফেলা(ওয়াজিব)।
এহরাম কি?
এহরামের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান পূর্বক (পুরুষের জন্য) হজ্জ অথবা উমরা কিংবা হজ্জ ও উমরা উভয়টির নিয়ত করে তালবিয়া পড়া এবং বায়তুল্লাহ শরীফের তওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সায়ী করার পর মাথা মুণ্ডন করে বা চুল ছোট করে মুক্ত হওয়া পর্যন্ত অবস্থাকে এরাম বলে।
কোথা থেকে এহরাম বাধবেনঃ
হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে মীকাত অর্থাৎ, শরী'আত কর্তৃক এহরাম বাধার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করার পূর্বেই এহরাম বেধে নেয়া জরুরী । বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান প্রভৃতি পূর্বাঞ্চলীয় লোকদের জন্য এই নির্ধারিত স্থানটি হল ইয়ালামলাম (মক্কা থেকে দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম)।সামুদ্রিক জাহাজযোগে হজ্জ যাত্রীগণ এ স্থান বরাবর অতিক্রম করার পূর্বে অবশ্যই এহরাম বেধে নিবেন। প্লেন এ স্থান বরাবর রেখা কখন অতিক্রম করে তা টের পাওয়া কঠিন; তাই প্লেন যোগে হজ্জ বা উমরার উদ্দেশ্যে মক্কা গমনকারীর জন্য প্লেনে আরোহণের পূর্বেই এহরাম বেধে নেয়া উচিত। বিমানবন্দরে যেয়ে বা হাজী ক্যাম্প থেকে বা বাসা থেকে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে বাসায় বা মসজিদে যে কোন স্থানে এহরাম বাধা যায়।
*যারা মদীনা শরীফ আগে যাওয়ার ইচ্ছা করবেন তারা বিনা এহরামেই রওয়ানা হবেন। মদীনা যিয়ারতের পর যখন মক্কা শরীফ-এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন, তখন মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফ গমনকরীদের মীকাত যেহেতু যুলহুলাইফা তাই যুলহুলাইফা নামক স্থান (বর্তমানে "বীরে আলী” নামে পরিচিত) থেকে বা মদীনা থেকেই এরাম বেধে মক্কা শরীফ রওয়ানা হবেন।
* যারা মক্কা শরীফে থেকে নফল উমরা করতে চান এহরাম বাধার জন্যে তাদেরকে হারামের সীমানার বাইরে যেয়ে এহরাম বেধে আসতে হবে। এর জন্য সবচেয়ে উত্তম স্থান হল তানঈম। বর্তমানে সেখানে মসজিদে আয়েশা নামক একটি মসজিদ আছে। তাই মসজিদে আয়েশায় গিয়ে এহরাম বেধে এসে নফল উমরা করবেন। জি'রানা নামক স্থান থেকেও এরাম বেধে আসা যায়।
এরাম বাধার তরীকা :
* এহরাম বাধার ইরাদা হলে প্রথমে ক্ষৌরকার্য করে নিন-নখ কাটুন, বগল ও নাভির নীচের পশম পরিষ্কার করুন। এগুলো মোস্তাহাব। মাথা মুণ্ডানোর অভ্যাস থাকলে মাথা মুণ্ডিয়ে নিন অন্যথায় চুল আঁচড়িয়ে নিন। স্ত্রী সম্ভোগও মোস্তাহাব।
* তারপর এহরামের নিয়তে গোসল করুন, না পারলে উযূ করে নিন ।
এটা সুন্নাত। ভালভাবে শরীরের ময়লা দূর করবেন।
* তারপর সেলাই বিহীন কাপড় অর্থাৎ, একটা চাদর পরিধান করুন এবং একটা চাদর গায়ে জড়িয়ে নিন। এখন ডান বগলের
নীচে দিয়ে পরবেন না। এহরামের কাপড় সাদা রংয়ের হলে উত্তম। পুরুষের জন্য এহরামের অবস্থায় শরীরের পরিমাপে সেলাই করা হয়েছে-এমন কাপড় পরিধান করা নিষিদ্ধ। মহিলাগণ যে কোন পোশাক পরিধান করতে পারেন। এহরামের কাপড় নতুন বা পরিষ্কার হওয়া উত্তম।
* তারপর সুগন্ধি লাগিয়ে নিন। এটা সুন্নাত।
* তারপর এহরামের নিয়তে দুই রাকআত নফল নামায পড়ে নিন। এটা সুন্নাত। এই দুই রাকআতের মধ্যে প্রথম রাকআতে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা এখলাস পড়া উত্তম। এই নামায মাথায় টুপি সহকারে (বা মাথা ঢেকে)ই পড়তে হয় । নামাযের নিষিদ্ধ বা মাকরূহ ওয়াক্তে এরাম বাধতে হলে এহরামের নামায না পড়েই এহরাম বাধতে হয়।
* নামাযের পর টুপি খুলে রেখে কেবলামুখী থেকেই এহরামের নিয়ত করতে হবে। বসে বসেই নিয়ত করা উত্তম এবং নিয়ত মুখেও উচ্চারণ করা উত্তম ।
* শুধু উমরার এহরাম হলে এভাবে নিয়ত করুন-
আরবীতে اللّٰهُمَّ إنِّىْ أُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهَا لِىْ وَتَقَبَّلْهَا مِنّىْ
বাংলায়ঃ হে আল্লাহ, আমি উমরা করতে চাই, তুমি আমার জন্য তা সহজ করে দাও এবং কবুল কর।
তারপর তালবিয়া অর্থাৎ
لَبَّيْكَ، اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكُ، لَا شَرِيْكَ لَكَ
পাঠ করবে।
এহরাম অবস্থায় যা যা নিষিদ্ধ :
* পুরুষের জন্য শরীরের পরিমাপে বানানো হয়েছে- এমন সেলাই যুক্ত পোশাক নিষিদ্ধ। যেমন জামা, পায়জামা, টুপি, গেঞ্জি, মোজা, সোয়েটার ইত্যাদি। মহিলাদের জন্য হাত মোজা, পা মোজা, অলংকার পরিধান করা জায়েয, তবে না করা উত্তম।
* ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত পুরুষের জন্য মাথা ও চেহারা এবং মহিলাদের জন্য শুধু চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ। মহিলাদের জন্য মাথা ঢাকা রাখা ওয়াজিব। পুরুষগণ কান ও গলা ঢাকতে পারেন ।
* এমন জুতা/স্যাণ্ডেল পরিধান করা নিষিদ্ধ, যাতে পায়ের মধ্যবর্তী উঁচু হাড় ঢাকা পড়ে যায় । মহিলাগণ এরূপ জুতা/স্যাণ্ডেল পরিধান করতে পারেন।
* সর্ব প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। সুগন্ধি যুক্ত সাবান ব্যবহার করাও নিষিদ্ধ।
* নখ, চুল, পশম কাটা ও কাটানো নিষিদ্ধ ।
* স্থল ভাগের প্রাণী শিকার করা বা সে কাজে কোন রূপ সহযোগিতা করা নিষিদ্ধ । তবে মশা, মাছি, ছারপোকা, সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি কষ্টদায়ক প্ৰাণী মারা জায়েয।
* স্ত্রী সহবাস বা এতদসম্পর্কিত কোন আলোচনা, চুমু দেয়া এবং শাহওয়াত (উত্তেজনা) সহকারে স্পর্শ করা নিষিদ্ধ ।
* ঝগড়া বিবাদ করা বা কোন গোনাহের কাজ করা নিষিদ্ধ। এগুলো এমনিতেও নিষিদ্ধ; এহরামের অবস্থায় আরও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। উকুন মারা নিষিদ্ধ ।
বিঃ দ্রঃ মহিলাদের জন্য চেহারা ঢাকা নিষিদ্ধ-এর অর্থ এই নয় যে, চেহারা সম্পূর্ণ খোলা রাখতে হবে যাতে পর পুরুষে চেহারা দেখতে পায়, বরং এর অর্থ হল চেহারার সাথে নেকাব বা কোন কাপড় লাগিয়ে রাখা নিষিদ্ধ তাদের জন্য এরামের অবস্থায় পর্দাও করা জরুরী, আবার চেহারায় কোন কাপড় বা নেকাব লাগানোও নিষিদ্ধ। এর উপায় হল তারা চেহারার সাথে লাগতে না পারে এমন কিছু কপালের উপর বেধে তার উপর নেকাব ঝুলিয়ে দিবে। মহিলাগণ এ ব্যাপারে গাফিলতি করে থাকেন, এরূপ করা চাইনা।
এহরাম অবস্থায় যা যা মাকরূহ :
* শরীরের ময়লা পরিষ্কার করা মাকরূহ।
* চুল বা দাড়ি বা শারীরে সাবান লাগানো মাকরূহ।
* চুল বা দাড়িতে চিরুনি করা মাকরূহ।
* এমন ভাবে চুলকানো মাকরূহ যাতে চুল, পশম বা উকুন পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। এরূপ আশংকা হয় না- এমন আস্তে চুলকানো জায়েয।
* এমন ভাবে দাড়ি খেলাল করা মাকরূহ যাতে দু'একটা দাড়ি খসে পড়ার আশংকা হয় ।
* এহরামের কাপড় সেলাই করে বা গিরা কিংবা পিন ইত্যাদি দিয়ে আঁটকানো মাকরূহ, তবে কোমরে বেল্ট বাধা জায়েয। টাকার থলি রাখাও জায়েয।
* বালিশের উপর মুখ দিয়ে উপুড় হয়ে শয়ন করা মাকরূহ।
* সুগন্ধিযুক্ত খাদ্য যদি পাকানো না হয় তাহলে তা খাওয়া মাকরূহ।
পাকানো হলে মাকরূহ নয়।
* শাহওয়াতের (উত্তেজনার) সাথে স্ত্রীর লজ্জাস্থান দেখা মাকরূহ ৷
* নাক গাল কাপড় দিয়ে ঢাকা মাকরূহ, তবে হাত দিয়ে ঢাকা যায়।
* ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়া মাকরূহ।
* এলাচি, লঙ্গ বা সুগন্ধিযুক্ত তামাক/জর্দা সহকারে পান খাওয়া মাকরূহ।
তওয়াফের তরীকা ও মাসায়েল:
* তওয়াফ শুরু করার পূর্ব মুহূর্তে চাদরের ডান অংশকে ডান বগলের নীচে দিয়ে নিয়ে বাম কাঁধের উপর রেখে দিন। এরূপ করাকে ‘এজতেবা’ বলে। সম্পূর্ণ তওয়াফে এরূপ রাখতে হবে। এই এজতেবা করা সুন্নাত। তওয়াফ অবস্থা ব্যতীত অন্য কোন সময় এজতেবা করবেন না। যে তওয়াফের পর সায়ী নেই সে তওয়াফেও এজতেবা' করবেন না। নফল তওয়াফের পর যেহেতু সায়ী নেই, তাই নফল তওয়াফেও এজতেবা' হবে না ।
* অতঃপর কা'বা শরীফের দিকে ফিরে হাজরে আসওয়াদকে ডান দিকে রেখে দাঁড়ান অর্থাৎ, হাজরে আসওয়াদ বরাবর মসজিদে হারামের গায়ে যে সবুজ বাতি আছে সেটাকে পিছনে ডান পার্শ্বে রেখে এমনভাবে দাঁড়ান, যেন হাজরে আসওয়াদ ডান কাঁধ বরাবর থাকে এবং এ পর্যন্ত যে তালবিয়া পড়ে আসছিলেন তা পড়া বন্ধ করুন। এই এহরাম শেষ হওয়া পর্যন্ত আর তালবিয়া পড়বেন না। তবে কেরান ও ইফরাদ হজ্জকারী তওয়াফ সায়ীর পর থেকে আবার তালবিয়া চালু করবেন।
* তারপর তওয়াফের নিয়ত করুন। নিয়ত করা শর্ত। শুধু এতটুকু নিয়ত করলেই যথেষ্ট যে, হে আল্লাহ! আমি তোমার ঘর তওয়াফ করার নিয়ত করছি, তুমি তা সহজ করে দাও এবং কবুল কর। তবে কোন্ তওয়াফ-উমরার · তওয়াফ, না তওয়াফে যিয়ারত না বিদায়ী তওয়াফ না নফল তওয়াফ ? ইত্যাদি নির্দিষ্ট করে নিয়ত করা উত্তম।
* আরবীতে নিয়ত করতে চাইলে এভাবে করা যায়-
اللّٰهُمَّ إِنِّي أُرِيدُ طَوَافَ بَيْتِكَ الْحَرَامِ فَيَسِرُهُ لِى وَتَقَبَّلُهُ مِنِى -
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমি তোমার ঘরের তওয়াফ করার নিয়ত করছি, তুমি সহজ করে দাও এবং কবুল করে নাও !
* নিয়ত করার পর বায়তুল্লাহ্র দিকে ফেরা অবস্থায়ই ডান দিকে এতটুকু চলুন যেন হাজরে আসওয়াদ ঠিক আপনার বরাবর হয়ে যায়। অতঃপর নামাযের তাকবীরে তাহরীমার ন্যায় দুই হাত কান পর্যন্ত (মহিলাগণ সিনা পর্যন্ত) উঠিয়ে হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে পড়ুন-
بِسْمِ اللهِ اَللهُ اَكْبَرْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَلِلّٰهِ الْحَمدُ ، وَالصَّلوةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُولِ اللهِ - اَللّٰهُمَّ إِيمَانًا بِكَ ، وَتَصْدِيقَا بِكِتَابِكَ ، وَوَفَاهُمْ بِعَهْدِكَ ، وَاتِبَاعًا لِسُنَّةِ نَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللّٰهُ تَعَالٰى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -
* তারপর হাত নামিয়ে ফেলুন।
* তারপর ধাক্কাধাক্কি করে কাউকে কষ্ট দেয়া ছাড়া সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুমু দিন। এই চুমু দেয়া সুন্নাত। তিনবার চুমু দেয়া মোস্তাহাব। চুমুতে যেন শব্দ না হয় । প্রতিবার চুমু দেয়ার পর মাথা হাজরে আসওয়াদের উপর রাখাও মোস্তাহাব। ভিড়ের কারণে চুমু দেয়া সম্ভব না হলে হাত দ্বারা হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করে হাতে চুমু দিন। তাও সম্ভব না হলে কোন লাঠি থাকলে তা দ্বারা স্পর্শ করে তাতে চুমু দিন। তাও সম্ভব না হলে দুই হাতের তালু দিয়ে হাজরে আসওয়াদের দিকে ইশারা করে দুই হাতেই চুমু খান । হাত দ্বারা ইশারা করার সময় হাত এতটুকু উঠাবেন যে, হাতের তালু হাজরে আসওয়াদের দিকে থাকবে এবং হাতের পিঠ চেহারার দিকে থাকবে। এ সময়
নিম্নোক্ত দু'আ পড়ুন-
اَللهُ اَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَالْحَمدُ لِلّٰهِ ، وَالصَّلَوةُ عَلَى سَيِّدِنِ الْمُصْطَفٰى
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم
তবে উল্লেখ্য যে, আজকাল অনেকে হাজরে আসওয়াদ, মুলতাযাম, রুকনে ইয়ামানী প্রভৃতি স্থানে সুগন্ধি মেখে গিয়ে থাকেন তাই এহরামের অবস্থায় যে তাওয়াফ হয় তাতে সরাসরি এ সব স্থান স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আরও মনে রাখা দরকার যে, হাজরে আসওয়াদের চতুর্পার্শ্বে যে রূপার বেষ্টনী রয়েছে তাতে চুমু দেয়া বা মাথা কিংবা হাত রাখা জায়েয নয় ।
* চুমু দেয়ার পর পা শক্ত রেখে একটু ডান দিকে ঘুরুন। এখন কা'বা শরীফ আপনার বাম দিকে হয়ে যাবে। এভাবে কা'বা শরীফ বাম দিকে রেখে তওয়াফ আরম্ভ করতে হবে। কখনও যেন বুক কা'বা শরীফের দিকে ফিরিয়ে তওয়াফ না হয় । দুই এক কদমও যেন এমন না হয়। এমন হলে সেই পরিমাণ জায়গা পিছে এসে কা'বা শরীফকে বাম দিকে রেখে পুনরায় সামনে অগ্রসর হবেন। তওয়াফের সময় কা'বা শরীফের দিকে দৃষ্টিও ফেরাবেন না। তওয়াফের সাত চক্করের মধ্যে প্রথম তিন চক্করে বীরের ন্যায় বুক ফুলিয়ে কাঁধ দুলিয়ে ঘন ঘন কদম ফেলে কিছুটা দ্রুত গতিতে চলতে হবে। এরূপ করাকে 'রমল' বলা হয়। রমল করা সুন্নাত। তবে যে তওয়াফের পর সায়ী নেই সে তওয়াফে রমলও নেই । রমল ও এজতেবা শুধু পুরুষের জন্য মহিলাদের জন্য নয়।
* তওয়াফ হাতীমের বাইরে দিয়ে করা ওয়াজিব।
* ভিড় না থাকলে এবং কাউকে কষ্ট দেয়া না হলে পুরুষের জন্য যথা সম্ভব বায়তুল্লাহ্র কাছাকাছি দিয়ে তওয়াফ করা উত্তম। মহিলাদের জন্য
পুরুষদের থেকে দূরে থেকে, এমনিভাবে তাদের জন্য রাতে তওয়াফ করা উত্তম
* প্রথম চক্করে রুকনে ইয়ামানীতে (কা'বা শরীফের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে) পৌঁছার পূর্বে বিভিন্ন দু'আ পড়া হয়ে থাকে; রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সে সব দুআ বর্ণিত নেই- তবে সে সব দু'আ পড়া যায় বা অন্য যে কোন দুআ করা যায়, যে কোন যিকির করা যায়। সাত চক্করে এরকম বিভিন্ন দুআ বর্ণিত আছে, সবগুলো সম্পর্কেই এ কথা। দুআ কিতাব দেখেও পড়া যায়।
* রুকনে ইয়ামানীতে পৌঁছে সম্ভব হলে দুই হাতে কিংবা শুধু ডান হাতে রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা মোস্তাহাব। চুমু খাবেননা বা হাতের দ্বারা স্পর্শ করে তাতে চুমু খাবেননা বা স্পর্শ করা সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারাও করবেননা।
* তারপর রুকনে ইয়ামানী থেকে হাজরে আসওয়াদের কোণে যাওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দুআ পড়া মোস্তাহাব। প্রত্যেক চক্করেই এই স্থানে এ দুআটি পড়তে হয় ।
رَبَّنَا آتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ يَا عَزِيزُ يَا
غَفَّارُ يَا رَبَّ الْعَلَمِينَ
* তারপর হাজরে আসওয়াদ বরাবর পৌঁছলে এক চক্কর পূর্ণ হয়ে গেল। এখন সম্ভব হলে ُبِسْمِ اللهِ اَلله اَكْبَرُ বলে আবার পূর্বের নিয়মে হাজরে আসওয়াদে চুমু খাবেন বা হাতে স্পর্শ করে বা ইশারা করে হাতে চুমু খাবেন। প্রত্যেক চক্করের শুরুতেই এভাবে চুমু খাবেন, তবে প্রথম বারের ন্যায়-হাত কান পর্যন্ত উঠাবেন না, এটা শুধু তওয়াফ শুরু করার সময়েই করতে হয়। তবে চুমু খাওয়ার জন্য হাত দ্বারা ইশারা করতে হলে পূর্বের নিয়মে তা করবেন। চুমু খাওয়ার পর দ্বিতীয় চক্কর শুরু করবেন এবং পূর্বের ন্যায় রুকনে ইয়ামানীতে সম্ভব হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবেন। তারপর রব্বানা আতিনা পড়তে পড়তে হাজরে আসওয়াদ বরাবর পৌঁছবেন, এভাবে দ্বিতীয় চক্কর পূর্ণ হয়ে গেল, এভাবে সাত চক্কর শেষ হওয়ার পর আবার হাজরে আসওয়াদে পূর্বের মত চুমু খাবেন। এটা হবে অষ্টম বার চুমু খাওয়া। এখন আপনার তওয়াফ শেষ হল । এখন চাদরের এজতেবা খুলে ডান কাঁধ ঢেকে নিন।
* সম্পূর্ণ তওয়াফ উযূ অবস্থায় হতে হবে। প্রথম চার চক্কর পর্যন্ত উযূ ছুটে গেলে উযূ করে আবার প্রথম থেকে তওয়াফ শুরু করতে হবে। আর যদি চার চক্করের পর উযূ ছুটে, তাহলে উযূ করে আবার প্রথম থেকেও তওয়াফ শুরু করা যায়, কিংবা যেখান থেকে উযূ ছুটেছে সেখান থেকেও বাকীটা পূর্ণ করে নেয়া যায়। তওয়াফে হায়েয নেফাস অবস্থা থেকেও পবিত্র হতে হবে ।
* তওয়াফ শেষ করার পর যদি বেশী ভীড় ও ধাক্কাধাক্কি না হয়, তাহলে হাজরে আসওয়াদ ও কা'বা ঘরের দরজার মধ্যবর্তী স্থানকে (এ স্থানকে 'মুতাযাম' বলা হয়।) আঁকড়ে ধরবেন, বুক এবং চেহারা দেয়ালের সাথে লাগাবেন এবং উভয় হাত উপরে উঠিয়ে দেয়ালে স্থাপন করে খুব কাকুতি মিনতি সহকারে দুআ করবেন। এটা দুআ কবুলের স্থান। এ স্থানে এরূপ দুআ করা সুন্নাত।
* তারপর কা'বা শরীফের দরজা মোবারকের চৌকাঠ ধরে খুব দুআ করুন। সম্ভব হলে গেলাফ আঁকড়ে ধরে খুব কান্নাকাটি করুন। তবে এহরাম অবস্থায় থাকলে এসব স্থানে সতর্ক থাকতে হবে যেন কা'বা শরীফের গেলা মাথায় না লাগে। এমনিভাবে এসব সুন্নাত আদায় করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে কাউকে কষ্ট দেওয়া অন্যায়, কেননা কাউকে কষ্ট দেয়া হারাম। এরূপ কষ্ট পাওয়ার আশংকা থাকলে এসব ছেড়ে দিতে হবে। মহিলাদের পর্দা ও শালীনতা রক্ষার স্বার্থেও এ থেকে এবং কা'বা শরীফের দরজা মোবারকের চৌকাঠ ধরে দুআ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ মোস্তাহাব আদায় করার চেয়ে পর্দার ফরয রক্ষা করা বেশী গুরুত্বপূর্ণ ।
* তারপর দুই রাকআত নামায পড়া ওয়াজিব, এটাকে সালাতুত্তাওয়াফ বা তওয়াফের নামায বলে। এই নামায মাকামে ইবরাহীম'-এর পিছনে পড়া মোস্তাহাব। ভীড়ের কারণে সেখানে পড়া সম্ভব না হলে আশে পাশে পড়ে নিবেন তাও সম্ভব না হলে দূরবর্তী যেখানে সম্ভব পড়ে নিবেন। তখন নিষিদ্ধ বা মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে তওয়াফ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এ নামায পড়ে নেয়া সুন্নাত। আর তখন নিষিদ্ধ ওয়াক্ত বা মাকরূহ ওয়াক্ত হলে তখন পড়বেননা বরং পরে সহীহ ওয়াক্তে পড়ে নিতে হবে। মাকামে ইবরাহীমের দিকে যাওয়ার সময় এই পড়তে পড়তে যাবেন-
وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلّٰى -
এই নামাযে প্রথম রাকআতে সূরা কাফিরূন এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা এখলাস পড়ুন। এই নামাযের পরও দুআ কবুল হয়ে থাকে। ‘মাকামে ইবরাহীম' একটি বেহেশতী পাথরের নাম, যার উপর দাঁড়িয়ে হযরত ইবরাহীম (আঃ) কা'বা শরীফের উঁচু দেয়াল নির্মাণ করেছিলেন। তখন প্রয়োজন অনুসারে এ পাথরটি আপনা আপনি উপরে নীচে উঠানামা করত। এ পাথরের গায়ে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর কদম মুবারকের চিহ্ন রয়েছে। পাথরটি কা'বা শরীফের পূর্ব দিকে একটি পিতলের জালির মধ্যে রাখা অবস্থায় সংরক্ষিত আছে।
* তওয়াফের দুই রাকআত নামায পড়ার পর যমযম কুয়ার নিকট গিয়ে যমযমের পানি পান করা এবং দুআ করা মোস্তাহাব। এটাও দুআ কবূল হওয়ার স্থান। (উল্লেখ্যঃ আজকাল যমযম কুয়ার নিকটে যাওয়া যায়না, সেক্ষেত্রে আশপাশ থেকেই যমযমের পানি পান করে নিন । )
* যমযমের পানি কা'বা শরীফের দিকে মুখ করে পান করা মোস্তাহাব। এ পানি দঁড়িয়ে বসে উভয় ভাবে পান করা যায় । যমযমের পানি পান করার সময় নিম্নোক্ত দুআ পড়তে হয়-
اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا وَّاسِعًا وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ
অর্থঃ হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট চাই উপকারী জ্ঞান এবং প্রশস্ত রিযিক, আর সব রোগ-ব্যাধি থেকে শেফা।
এ পর্যন্ত তওয়াফ ও তার আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পন্ন হল ।
সায়ীর তরীকা ও মালায়েল
(সাফা ও মারওয়া নামক দু'টি পাহাড়ের মাঝে বিশেষ নিয়মে সাতটা চক্কর দেয়াকে সারী বলা হয়।)
* তওয়াফ ও তার আনুষঙ্গিক কার্যাবলী শেষ করার পর সায়ী করার উদ্দেশ্যে ছাফা পাহাড়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বে হাজরে আসওয়াদকে তওয়াফে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী চুমু দিয়ে যাবেন। এটা মোস্তাহাব। এটা হবে নবম চুমু দেয়া।
* তওয়াফের পর বিলম্ব না করেই সায়ী করা সুন্নাত।
* সায়ী করার জন্য 'বাবুস সাফা' অর্থাৎ, সাফা দরজা দিয়ে বের হওয়া মোস্তাহাব। অন্য যে কোন দরজা দিয়ে বের হওয়া জায়েয। মনে রাখতে হবে এখান থেকে বের হওয়ার সময় মসজিদ থেকে বের হওয়ার নিয়ম ও দুআগুলোও আমল করতে হবে। তার জন্য দেখুন ১৭৫ পৃষ্ঠা ।
* তারপর সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী গিয়ে এই দু'আ পড়া মোস্তাহাব - اَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللّٰهُ بِهٖ إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ الله -
* সাফা পাহাড়ের এতটুকু উঁচুতে উঠবেন যেন বাবুস সাফা দিয়ে কা'বা শরীফ নজরে আসে, এর চেয়ে বেশী উপরে উঠা নিয়মের খেলাফ বরং এতটুকুই উপরে উঠা সুন্নাত।
* কা'বা শরীফ নজরে আসলে কা'বার দিকে নজর করে দুআ করার সময় যে রকম হাত উঠানো হয় সে রকম করে দুই হাত কাঁধ বরারব উঠিয়ে (কান পর্যন্ত হাত উঠানো ভুল এবং সুন্নাতের খেলাফ) তিন বার আওয়াজ সহকারে নিম্নোক্ত দুআ পড়ুন । এটা মোস্তাহাব।
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ اَللهُ أَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا الله -
তারপর আস্তে দুরূদ শরীফ পাঠ করে নিজের জন্য এবং সকলের জন্য দুআ করুন। এটাও দুআ কবুল হওয়ার স্থান।
* সায়ীর নিয়ত করে নেয়াও উত্তম।
* অতঃপর দুআ কালাম পাঠ করতে করতে মারওয়ার দিকে অগ্রসর হোন। যথাসম্ভব মধ্যবর্তী জায়গা দিয়ে সায়ী করার চেষ্টা করবেন। স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকুন। মাঝখানে সবুজ দুই স্তম্ভ নজরে পড়বে, এই স্তম্ভদ্বয়ের মধ্যবর্তী স্থানটুকু পুরুষের জন্য কিছুটা দ্রুত গতিতে চলা সুন্নাত-একেবারে দৌড়ে নয়। নারীগণ এ স্থানেও স্বাভাবিক গতিতে চলবেন। এ সময় নিম্নোক্ত দুআ পড়ুন-
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمُ أَنْتَ الْاعَزُّ الأَكْرَمُ -
অর্থাৎ, হে আমার রব, তুমি ক্ষমা কর এবং রহমত দান কর, তুমিতো সবচেয়ে বেশী মর্যাদাশালী। সবচেয়ে বড় মেহেরবান ! পুরুষগণ ভীড়ের কারণে দ্রুত চলা সম্ভব না হলে ভীড় কমার অপেক্ষা করবেন। এই মধ্যবর্তী স্থানটুকু পার পাওয়ার পর আবার স্বাভাবিক গতিতে চলতে চলতে মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছান। মারওয়া পাহাড়ের সামান্য উঁচুতে উঠে কা’বামুখী হয়ে পূর্বের ন্যায় হাত উঠিয়ে তিনবার নিম্নোক্ত দুআ পড়ুন এবং অন্যান্য দুআ করুন । এই মারওয়া পাহাড়েও বেশী উপরে উঠা নিষেধ। الْحَمدُ لِلّٰهِ اَللهُ أَكْبَرُ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ -
* সাফা থেকে এই মারওয়া পর্যন্ত আপনার এক চক্কর হয়ে গেল। আবার এখান থেকে সাফা পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে যাবেন তাতে দ্বিতীয় চক্কর হয়ে যাবে । এভাবে সাত চক্কর দিবেন, তাতে মারওয়ার উপর এসে আপনার সপ্তম চক্কর শেষ হবে। সাফা থেকে আবার সাফা পর্যন্ত এক চক্কর হিসেব করবেন না, তাতে চৌদ্দ চক্কর হয়ে যাবে- সেটা ভুল।
* মহিলাগণ মাসিক অবস্থায় সায়ী করতে পারেন। তবে পবিত্র হওয়ার পরই সায়ী করা সুন্নাত ।
* সায়ীর চক্কর কয়টা হল এ নিয়ে সন্দেহ হলে কমটা ধরে নিয়ে বাকীটা পুর্ণ করতে হবে।
* উপরে দ্বিতীয় তলায় এবং ছাদেও সায়ীর জন্য ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানেও সায়ী করা যেতে পারে।
* সায়ীর সপ্তম চক্কর শেষ হওয়ার পর মসজিদে হারামের ভিতর এসে দুই রাকআত নফল নামায পড়া মোস্তাহাব, যদি মাকরূহ ওয়াক্ত না হয় ।
এ পর্যন্ত আপনার সায়ীর কার্যাবলী শেষ হল। যদি এটা আপনার উমরার সায়ী হয়ে থাকে তাহলে এখন আপনি মাথা মুণ্ডন করে বা চুল ছেঁটে এরাম
খুলতে পারেন।
মাথা মুণ্ডন করা বা চুল ছাঁটার মাসায়েল
* এহরাম খোলার জন্য মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছাঁটা ওয়াজিব । মাথা মুণ্ডানোকে ‘হলক' এবং চুল ছাঁটাকে 'কছর' বলা হয়। চুল ছাঁটার চেয়ে মাথা মুণ্ডানো উত্তম ।
* মাথার কম পক্ষে এক চতুর্থাংশ চুল মুন্ডালে বা ছাঁটালে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে তবে তা মাকরূহ তাহরীমী। বরং পুরো মাথা মুন্ডানো বা পুরো মাথার চুল ছাঁটাই মোস্তাহাব বা উত্তম। * মহিলাদের জন্য মাথা মুন্ডানো হারাম। তারা কছর করবেন অর্থাৎ, চুল ছাঁটাবেন।
* চুল [ ছাঁটার ক্ষেত্রে চুলের লম্বার দিক থেকে আঙ্গুলের এক কড়া পরিমাণ ছাঁটা জরুরী; সাবধানতার জন্য একটু বেশী হেঁটে নিতে হবে। পুরুষের চুল যদি এত ছোট হয় যে, আঙ্গুলের এক কড়া পরিমাণ ছাঁটা যায় না, তাহলে মুন্ডানো জরুরী। মাথায় চুল একেবারে না থাকলে মাথার উপর দিয়ে ক্ষুর বা ব্লেড শুধু চালিয়ে নিতে হবে।
* মাথা মুন্ডানো বা চুল ছাঁটার সময় কেবলামুখী হয়ে বসে নিজের ডান দিক থেকে মুন্ডানো বা ছাঁটানো শুরু করতে বা করাতে পারলে উত্তম।
* নাপিত দ্বারা বা নিজেই চুল মুন্ডানো বা ছাঁটা যায়। আপনার মত যার এখন মাথা মুন্ডিয়ে বা চুল ছেঁটে হালাল হওয়ার মুহূর্ত, তার দ্বারাও মুন্ডানো বা ছাঁটানো যায়।
* হলক বা কছর করা হলেই এরাম শেষ হয়ে যাবে। এখন এহরামের অবস্থায় যা নিষিদ্ধ ছিল তা হালাল হয়ে যাবে ।(আহকামে যিন্দেগী (২৮৭—৩০১)
স্বাক্ষরঃ
মুফতী সাইফুল ইসলাম কাসিমী
ফতওয়া বিভাগ,জামিয়া নু'মানিয়া।
১৩ রবিউল আখর ,১৪৪৫হিজরী(29/10/2023)
উত্তর দেখা হয়েছে : 249