খতম তারাবীহ্ পড়িয়ে বিনিময় গ্রহণ করা

প্রশ্ন

  কোনো ইমাম যদি তারাবির নামাজ পড়িয়ে টাকা নেয় কিংবা তার ব্যাপারে এটা নিশ্চিতভাবে ধারণা করা যায় যে তাকে কোনরকম হাদিয়া না দিলে সে তারাবি পড়াবে না। এইরকম ইমামের পিছনে তারাবির নামাজ পড়া যাবে কি ?

প্রশ্নকারীর নাম: অনিচ্ছুক

প্রশ্নকারীর ঠিকানা: অনিচ্ছুক

প্রকাশিত: 02-03-2024

উত্তর

ফতওয়া নং ৩০৩

রমাজান মাসে তারাবীর নামাযে কোরআন শরীফ খতম করা অধিক সাওয়াবের কাজ, কিন্তু এই খতমের বিনিময়ে টাকা-পয়সা আদান-প্রদান করা সম্পূর্ণ নাজায়েয। যে হাফেজ সাহেব খতমে তারাবীহ পড়িয়ে টাকা নেন তার পেছনে ইক্তিদা করা মাকরূহ। এমতাবস্থায় খতমে তারাবীহ না পড়ে সূরা তারাবীহ পড়াই উত্তম। সূরা তারাবীহ্ পড়িয়ে পারিশ্রমিক নেওয়া জাইয আছে; যদিও পারিশ্রমিক নেওয়া উদ্দেশ্য না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। 
খতমে কোরআনের বিনিময় দেওয়া-নেওয়ার নিয়্যাত না থাকাবস্থায় হাদিয়া হিসেবে লেনদেনের অবকাশ থাকলেও বর্তমান সমাজের উরফ তথা প্রচলনে বিনিময় উল্লেখ না করা হলেও বিনিময় হিসেবেই দেওয়া হয়। কেননা খতমের পূর্বে বা খতম করে চলে যাওয়ার পর হাফেজ সাহেবের কোনো খোঁজখবর নেওয়া হয় না। এমনকি যদি হাফেজ সাহেবকে টাকা না দেওয়া হয় তারা ওই মসজিদে দ্বিতীয়বার নামায পড়ানোর জন্য আসে না। সুতরাং খতমে তারাবীহকে কেন্দ্র করে দেওয়া টাকা হাদিয়ার নিয়্যাত করলেও হাদিয়া হবে না। ( রদ্দুলমুহতার ২/৭৩পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য )

 

                স্বাক্ষর

মুফতী সাইফুল ইসলাম কাসিমী
ফতওয়া বিভাগ,জামিয়া নু'মানিয়া।
০৪ রমাযান, ১৪৪৫ হিজরী (15/03/2024)


উত্তর দেখা হয়েছে : 266