প্রশ্ন
হযরত, LIC করা যাবে ? বা LIC এর মতো আরোও অনেক কোম্পানি আছে যাদের ফান্ডে টাকা রাখা যাবে ?
প্রশ্নকারীর নাম: Ikbal Ahammed
প্রশ্নকারীর ঠিকানা: Dhaltikuri, purandarpur, Birbhum
প্রকাশিত: 04-03-2024
উত্তর
ফতওয়া নং ৩০৪ L I C, সুদ ও জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে শরীয়তের দৃষ্টিতে এটা সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
এতে যে পরিমাণ অর্থ জমা দেয়া হয় বিনিময়ে তার চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণ করার চুক্তি হয়। আর শরীয়তের পরিভায়ায় সরাসরি আর্থিক লেনদেনে কমবেশি মুনাফা চুক্তিকেই সুদ বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ারা পরিষ্কার ভায়ায় সুদ হারাম ঘোষণা করেছেন।
‘আর আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয় তথা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।’ (সূরা বাকারা : ২৭৫)
এতে জুয়াও বিদ্যমান। যেহেতু বীমাকারী কখন মারা যাবে আর সে কতো টাকা পাবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর শরীয়তের পরিভাষায় অনিশ্চিত লেনদেনকেই জুয়া বলে। আল্লাহ তায়ালা জুয়াকে শয়তানের কর্ম বলে অভিহিত করেছেন এবং এ থেকে বিরত থাকার আদেশ করেছেন।
আল্লাহ্ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য নির্ধারক শরসমূহ এসবই শয়তানের কার্য বৈ কিছু নয়। অতএব এগুলো থেকে বেঁচে থাকো, যেনো তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা মায়েদা : ৯০)
এছাড়াও আরো অনেক কারণ আছে, যার কারণে উলামায়ে কিরাম সর্বসম্মতভাবে এটাকে নাজায়েয ও হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। রিযিকের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হাতে। এ কথার উপর সকল মুমিনের বিশ্বাস রাখা একান্ত জরুরি। এর বিপরীত লাইফ ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে মৃত্যু পরবর্তী পরিবার খুব ভালোভাবে চলতে পারবে এ দৃঢ় বিশ্বাস অন্তরে লালন করা শুধু গোনাহই না; বরং শিরকের অর্ন্তভুক্ত। তাই এ থেকে সবার বেচেঁ থাকা একান্ত জরুরি।
স্বাক্ষর
মুফতী সাইফুল ইসলাম কাসিমী
ফতওয়া বিভাগ,জামিয়া নু'মানিয়া।
০৪ রমাযান, ১৪৪৫ হিজরী (15/03/2024)
উত্তর দেখা হয়েছে : 293