প্রশ্ন
গ্রামের মসজিদটি আমরা পুনঃনির্মাণ করতে চাইছি সেই জন্য গ্রামের ৪০০-৪৫০ টি পরিবার পিছু ৩০০০/- টাকা করে চাঁদা তোলা হবে ও তার সঙ্গে একটি মসজিদ নির্মাণ সংস্থা আর্থিকভাবে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।। চাঁদা ও সংস্থার আর্থিক অনুদান এই দুয়ের মিলিত অর্থ ব্যবহার করে মসজিদটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।।আমাদের গ্রামের ৯০% মানুষ শ্রমিক শ্রেণীর এরা রাজমিস্ত্রি ও হেল্পার।। বাকি ১০% এর মধ্যে শিক্ষক,কৃষক,ছোটো ব্যবসায়ী,টোটো চালক, ইত্যাদি রয়েছে।। গ্রামের মোট জনসংখ্যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ এমন রয়েছেন যাদের সম্পূর্ণ হালাল উপার্জন রয়েছে ও তাদের ব্যক্তিগত মোট সম্পদও শরীয়তের বিধানে হালাল।।আবার এমন কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাদের হালাল উপার্জন রয়েছে কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত মোট সম্পদে হালাল ও হারাম অর্থাৎ,(সুদ) মিশ্রিত অবস্থায় আছে যা পার্থক্য করা তাদের পক্ষেও সম্ভবপর নয়।। আবার এমন কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছেন যাদের সম্পূর্ণ উপার্জনটাই হারাম পদ্ধতিতে ও তাদের ব্যক্তিগত মোট সম্পদও শরীয়তের বিধানে হারাম।। আর এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের ব্যক্তিগত মোট সম্পদ(হালাল অথবা হারাম) এই সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না , তাদেরকে সন্ধের তালিকায় রাখা হয়েছে।। এমনকি কোনো ব্যক্তি তার মোট সম্পদের কোন অংশ থেকে অর্থাৎ,হালাল অথবা হারাম অংশ থেকে আমাদেরকে চাঁদা দেবে তাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না ।। এর প্রধান কারণ ইসলামের বিধান সম্পর্কে গ্রামের মানুষজন খুবই অসচেতন ও তাদের মধ্যে এতটুকু ইলম নেই যাতে তারা তাদের ব্যক্তিগত মোট সম্পদের মধ্যে হালাল ও হারাম অংশকে পার্থক্য করে রাখতে পারে ।। প্রশ্ন:- (ক) এই অবস্থায় আমাদের গ্রামের মসজিদটি যদি এই সকল লোকের অর্থাৎ, যাদের সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে,তাদের আর্থিক সহায়তায়/ চাঁদায় সম্পূর্ণভাবে পুনঃনির্মান করা হয়।। তবে মসজিদটির নির্মাণকাজ শরীয়তের বিধানে হারাম অথবা হালাল হবে ?? (খ) এই মসজিদটিতে ইবাদত(সালাত আদায়) করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কী?? (গ) উপরের বর্ণিত পদ্ধতি ও আলোচনার উপর ভিত্তি করে, আপনার ব্যক্তিগত মূল্যবান মতামতের মাধ্যমে আমাদেরকে সঠিক পদ্ধতিটি জানালে উপকৃত হবো ।। ইনশাআল্লাহ ।। ইতি:- মসজিদকমিটি ও প্রধান সদস্যবৃন্দ
প্রশ্নকারীর নাম: মাওলানা মুন্না সেখ ( জামিয়া ইসলামিয়া মদিনাতুল উলুম) ।। ফোন ন্ং -6296429904
প্রশ্নকারীর ঠিকানা: মহেশগঞ্জ, নবদ্বীপ, নদিয়া, ৭৪১৩১৫
প্রকাশিত: 12-08-2024
উত্তর
ফতওয়া নং ৪৫৬যদি কোনো ব্যক্তির আয় হালাল ও হারাম মিশ্রিত হয় এবং পৃথক করা সম্ভব না হয়, তবে যদি তার আয়ের অধিকাংশ হালাল হয়, তাহলে তার দান মসজিদের জন্য গ্রহণ করা শরীআত অনুযায়ী জাইয হবে। তবে যদি জানা যায় যে তিনি হারাম আয় থেকে দান করছেন, তাহলে সেই দান গ্রহণ করা যাবে না। আর যদি তার আয়ের অধিকাংশ হারাম হয়, তবে তার দান মসজিদের জন্য গ্রহণ করা যাবে না। তবে যদি নিশ্চিত হওয়া যায় যে তিনি হালাল আয় থেকে দান করছেন, তাহলে তার দান মসজিদের জন্য গ্রহণ করা শরীআত অনুযায়ী জাইয হবে।( ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ১৩/৫২৪ দ্রষ্টব্য )
স্বাক্ষর
মুফতী সাইফুল ইসলাম কাসিমী
ফতওয়া বিভাগ,জামিয়া নু'মানিয়া।
১৮ সফর, ১৪৪৬ হিজরী ( 24/08/2024 )
উত্তর দেখা হয়েছে : 228